মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
বাংলাদেশে প্রচণ্ড খরা ও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

বাংলাদেশে প্রচণ্ড খরা ও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

disester-2_104117আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতেই প্রচণ্ড খরা ও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ‘এল নিনো’র প্রভাবে পুরো ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এমন আবহাওয়া দেখা দিতে পারে। জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএমও এ পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএমওর প্রধান মাইকেল জারার্ড বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে ভয়াবহ ‘এল নিনো’ দেখা দিতে পারে। এটি হবে গত ১৫ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম এবং ১৯৫০ সালের পর থেকে চতুর্থ শক্তিশালী। চলতি বছরের এল নিনোর প্রভাবে দেখা দেবে প্রচণ্ড খরা ও বন্যা।
বিষুবরেখা বরাবর প্রশান্ত সাগরের পূর্ব অংশে যে গরম পড়ে, সেটাই এল নিনো। ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন হবে কি না তা ‘এল নিনো’র ওপর নির্ভর করে। সাধারণত দুই থেকে সাত বছর পরপর ‘এল নিনো’ দেখা যায়। এল নিনোর বছরে আবহাওয়া অন্য বছরের তুলনায় চরমভাবাপন্ন হয়। বাংলাদেশের নিচের কিছু অংশ ক্রান্তীয় এবং বাকি অংশ উপক্রান্তীয় অঞ্চলে পড়েছে। আবহাওয়ার ওপর এল নিনোর বিরূপ প্রভাব পুরোপুরিই বাংলাদেশের ওপর পরে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই এল নিনো দেখা যায়। এর প্রভাবে বিশ্বের অনেক স্থানে প্রচণ্ড বৃষ্টি দেখা দেয় যা থেকে সৃষ্টি হয় বন্যা, আবার অনেক স্থানে দেখা দেয় প্রচণ্ড খরা।
ডব্লিউএমও জানিয়েছে, কয়েক মাস পূর্বের তথ্য থেকে দেখা গেছে, এই বছর ‘এল নিনো’ প্রচণ্ড আকার ধারণ করছে। বছরের শেষ পর্যায়ে এটি আরো শক্তিশালী রূপ নেবে। ডব্লিউএমওর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে এ বছরের এল নিনো হবে ১৯৫০ সালের পর থেকে চতুর্থ শক্তিশালী। এর আগের শক্তিশালী এল নিনোগুলো ছিল ১৯৭২-৭৩, ৮২-৮৩ ও ৯৭-৯৮ সালের।
সাধারণত প্রতিবছর অক্টোবর থেকে জানুয়ারিতে ‘এল নিনো’ দেখা যায়। বছরের প্রথম তিন মাসেই এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। এল নিনোর ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর। প্রচণ্ড খরা ও ভয়াবহ বন্যার কারণে শষ্যের ফলন যেমন কমে, তেমনি দাবানলের শঙ্কাও বেড়ে যায়। আর এবারের ভয়াবহ ‘এল নিনো’র কারণে খাদ্যশষ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com